শুকনো মৌসুমে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীতে জেগে উঠা ফসলি জমি থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি চক্র। এরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জিম্মি করে চালিয়ে আসছিল তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আর এ সকল বালু উত্তোলন চক্রের সাথে জড়িত স্থানীয় কিছু পাতি রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় সাংবাদিকদের ২/১ জনও এদের কাজে দীর্ঘদিন হতে সহযোগিতা করে আসছিল।
কালীগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদী হতে বালু উত্তোলনের রোড হিসাবে চক্রটি ব্যবহার করে ভোটমারী এলাকার খাদ্যগুদাম সংলগ্ন আহেদুল মেম্বারের বাড়ির রাস্তা, নোহালী, চৌধুরীর হাট এলাকা এবং মুন্সিরবাজার নামক এলাকার রাস্তা দিয়ে। বালু পরিবহন করার কারনে এ সকল রাস্তাগুলো চলাচলের যেমন অনুপযুক্ত হচ্ছে তেমনি এদের কারনে স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা ধুলোবালির কারণে প্রায় ধুলো বালির কারণে বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছেন এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও। স্থানীয় ব্যক্তিরা বারবার প্রতিকার চেয়েও রাজনৈতিক প্রভাব থাকার কারণে কোন প্রতিকার মেলেনি তাদের।
উপজেলার তিস্তা নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বর্ষাকালে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এতে প্রতিবছর বিলীন হয়ে যায় শতশত বসতভিটা, ঘরবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, আঞ্চলিক সড়ক ও স্কুলসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের আশঙ্কায় থাকে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ কালভাট নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়রা প্রতিবেদককে জানায়, স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কতিপয় লোক যত্রতত্র কখনও বালুর মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন আবার কখনও তিস্তা নদীতে জেগে উঠা চরে জমানো পলি বালু উত্তোলন করছেন এ বালু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে (০৬ ফেব্রুয়ারি ) দিনব্যাপি কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো ট্রাক বন্ধে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ইসরাত জাহান ছনি বলেন তিস্তা নদীর থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার ভাঙন ও ফসলি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ স্যারের নির্দেশনায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে আজ অভিযানে চালিয়ে অবৈধ ভাবে তিস্তা নদী বালু উত্তোলন করার অপরাধে তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশীরামে এলকায় একটা বালুবাহী ট্রাক্টর কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের জেল। সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
<সম্পাদকঃ- আল-আমীন (বাবু)<০১৭৫০৮৪৯২২৩_প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ আল-আমীন;০১৮৪৯৭৩২৭১৩
সত্যের সন্ধানে আমরা আছি আপনার পাশে