কালীগঞ্জ,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের আয়নাল নামে এক যুবলীগ কর্মীকে পায়ের রগ কেটে আহত করার  আসামীক গ্রেফতার ও বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলা চত্বরে আহত যুবলীগ পরিবার ও এলাকা বাসিদের নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযুক্ত রমজান আলী ৮নং কাকিনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি।

গত ১৫ই এপ্রিল (সোমবার) রাত ১১ ঘটিকার সময় কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত আয়নাল উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে। সে কাকিনা ইউনিয়ন যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।

উল্লেখ্য, রমজান আলী মেম্বার উপজেলা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে নেতাদের আশ্রয় প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় নির্মিত সরকারী ঘর ভুমিহীন মানুষের নিকট বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ১৫ ই এপ্রিল ঘর না পাওয়া একজনের টাকা ফেরত চাওয়ায় রমজান বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে যুবলীগ কর্মী আয়নালের উপর হামলা করে তাকে হাতুরি, বল্লম দিয়ে মারপিট করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয়।

আহত আয়নাল হক এর স্ত্রী মোছাঃ মুন্নী বেগম বলেন, 'সন্ত্রাসী রমজান মেম্বার আমার স্বামীকে কুপিয়ে আহত করে পায়ের রগ কেটে দিয়েও এখন সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘটনার এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না'।

এসময় বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, 'আমরা জন্মগত ভাবে আওয়ামী লীগ করি অথচ বিএনপি রমজান মেম্বার অন্যায় ভাবে আমার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেন। আমার ছেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে। মামলার এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনো কেন পুলিশ রমজান মেম্বারকে গ্রেফতার করতে পারে নি। অবিলম্বে আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসী রমজান মেম্বারকে গ্রেফতার ও মেম্বারী থেকে বহিষ্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি'।

এছাড়াও বক্তারা আরও বলেন, রমজান আলী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চর এলাকায় গড়ে তুলেছেন রমজান বাহিনী। আর এ রমজান বাহিনী চরের জমিদখল, সহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত।  তারা আরোও বলেন সে এলাকার মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর সে শুধু রমজান বাহিনীর লোকদেরকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকেন। এ ঘটনার ৩/৪ দিন আগেও রমজান একটি ধর্ষণ মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে  চাপ দিয়ে মামলা হতে বিরত রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে।